বর্তমান সময়ে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে কেন সচেতন থাকবেন।
আধুনিক এই সময়ে অধিক নগরায়ন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্যক্রম অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় আমরা পানিবাহিত বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হচ্ছি। ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস ইত্যাদি নানান ধরনের রোগ নিয়মিত পরিলক্ষিত হয় বর্তমানে। তাছাড়া বেশীরভাগ সময় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা যায় এবং পানের ফলে রোগে ভুগতে হয়।বর্তমান সময়ে বিশুদ্ধ পানি নিয়ে সচেতন থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ:
স্বাস্থ্য রক্ষা: বিশুদ্ধ পানি পান না করলে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। যেমন, ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস এ-এর মত রোগ ছড়াতে পারে।
জল দূষণ: শিল্প, কৃষি এবং অন্যান্য উৎস থেকে পানির দূষণ বেড়েছে। কীটনাশক, ভারী ধাতু এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ পানিতে মিশে যেতে পারে যা মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস: পানিতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং অন্যান্য প্যাথোজেন থাকতে পারে যা বিভিন্ন সংক্রামক রোগের কারণ হতে পারে।
মাইক্রোপ্লাস্টিক: সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে পানির মধ্যে মাইক্রোপ্লাস্টিক কণা থাকতে পারে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।
বিষাক্ত পদার্থের প্রভাব: আমাদের পানি ব্যবস্থায় ক্ষতিকারক পদার্থ থাকতে পারে যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
পানির মান: বিশুদ্ধ পানি পান করা শুধুমাত্র রোগ থেকে বাঁচার জন্যই নয়, এটি শরীরের সার্বিক কার্যকারিতা এবং হাইড্রেশন নিশ্চিত করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। বিশুদ্ধ পানি শরীরের বিভিন্ন সিস্টেম, যেমন হজম, স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
রোগ প্রতিরোধ: বিশুদ্ধ পানি পান করলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড এবং হেপাটাইটিস এ এর মতো পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
বর্তমানে আমরা ওয়াসার পানিতে আমরা প্রায় সময় দূষণের উপস্থিতি লক্ষ্য করি এবং এটা যেহেতু অনেক বেশি পরিমানে দেখা যায় সেজন্য আপনি পানি ফুটিয়ে বা ফিল্টারিং এর মাধ্যমে আপনার খাওয়ার পানি নিশ্চিত করতে পারেন।
দীর্ঘ দিনের জমে থাকা পানিতে ব্যাকটেরিয়া, জৈব পদার্থ, দূষিত উপাদান, জমে থাকা পলি, শ্যাওলা ইত্যাদি থাকার সম্ভাবনা অনেক তাই বিশুদ্ধ পানির যথাযত ব্যবস্থা অত্যাবশ্য।অনেক সময় অত্যধিক আয়রণের ফলে আপনার চুল থেকে শুরু করে স্কীন,দাঁত, শরীরের অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় তাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়।